বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ অপরাহ্ন
আব্দুল্লাহ আল লোমান, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি : জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের অফিস ফাঁকি ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সংকটের কারণে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও প্রাথমিক শিক্ষা ব্যাবস্থার বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফেরদৌসের দায়িত্বহীনতা কারণে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসসহ উপজেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিয়মিত যথা সময়ে বিদ্যালয়ে আসেন না। ফলে শিক্ষা অফিসারদের সঠিক তদারকি না থাকায় যমুনার চারাঞ্চলসহ প্রত্যান্ত অঞ্চলের অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে মাসের পর মাস শিক্ষকরা স্কুল ফাঁকি দিচ্ছেন।
সরকারি প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে, সরকার ২৪আগস্ট ২০২২ তারিখ হতে দেশের সকল সরকারি,আধা-সরকারি,স্বায়ত্ত শাসিত ও আধা-স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস সময়সূচি পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত রবিবার হতে বৃহস্প্রতিবার সকাল ৮টা হতে ৮ বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস ঘোষণা করেছেন। কিন্ত অফিস চলাকালীর সময়ে বুধবার সরেজমিনে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে সকাল ৮টা ৩৩মিনিটেও খোলা হয়নি অফিস। যথা সময়ে অফিসে আসেননি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফেরদৌসসহ অফিসের অন্যান্যরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফেরদৌস ইসলামপুরে যোগদানের পর হতে নিয়মমিত অফিস করেন না। চাকুরী ভয়ে পত্রিকার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকরা জানান, প্রথমিক শিক্ষা অফিসার নিয়মিত অফিস করেন না। অফিসের কাজে গিয়ে থাকে তাকে অনেক সময় পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে সিএনজি দিয়ে আসেন চলে যান।
এব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফেরদৌসের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আপনি কে যে আপনাকে বলতে হবে আমি কখন অফিসে যাবো আসবো। আপনি আমাকে ফোন দিবেন না বলে ফোন কেটে দেন।
অফিস ফাঁকিসহ অফিস সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় না খোলার ব্যাপারে ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ তানভীর হাসান রুমান জানান, তিনি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।